• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪২৯

সারা দেশ

নড়াইলে বর্নাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশু বরণ

  • প্রকাশিত ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

নড়াইল প্রতিনিধি:

আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যত ।  শিশুর ভিতর লুকিয়ে আছে অপার সম্ভাবনা । শিশুর সুপ্ত প্রতিভা বিকশিত হয় উপযুক্ত পরিবেশ পেলে ।  আর শিশুর সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের অন্যতম ক্ষেত্র হলো বিদ্যালয়।  বিদ্যালয়ই শিশুর শারীরিক,মানসিক,আবেগিক,নান্দকি ও নৈতিক বিকাশের অন্যতম মাধ্যম ।  আর বিদ্যালয়টির পরিবেশ যদি হয় ভীতি হীন, পরিচ্ছন্ন,আনন্দঘন,দৃষ্টিনন্দন আর শিক্ষকগণ হন বন্ধু সুলভ তাহলে শিশুদের সুপ্ত প্রতিভার পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটে ।  এক এক টি শিশু বেড়ে ওঠে প্রস্ফুটিত গোলাপের মত ।  এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে অর্ধমাস ব্যাপি শিশু বরণ উৎসব এর সমপনী বুধবার (৭ফেব্রুয়ারি ) বিকালে নড়াইল সদর উপজেলার গুয়াখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্টেকহোল্ডারদের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণ ও সহযোগিতায় বর্নাঢ্য আয়োজনের মধ্যদিয়ে ২৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু বরণ -২০২৪ সমপণী অনুষ্ঠান হলো।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নড়াইল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জনাব মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ।  বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জনাব রনোতোষ কুমার সেন ও জনাব আশরাফুল ইসলাম ।  অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের এস.এম সি সভাপতি জনাব অশোক কুমার বিশ্বাস ।  অনুষ্ঠানের সার্বিক নির্দেশনায় ছিলেন তুলারামপুর ক্লাস্টারের সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার জনাব গোলাম রববানী ।  অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শিশুদের খাতা,পেন্সিল,পেন্সিল বক্স ও ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়া হয় ।  পরে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠত হয় ।

তুলারামপুর ক্লাস্টার অফিসার জনাব গোলাম রববানীর নির্দেশনায় ক্লাস্টারের ২৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক কর্মপরিকলাপনা ২০২৪ প্রনয়ন করা হয়েছে ।  কর্মপরিকল্পনার অংশ হিসেবে ১৮ই জানুয়ারী ২০২৪ চামরুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশু বরণের মধ্যদিয়ে বরণ উৎসব শুরু হয়।  এবং ৭ ফেব্রুয়ারি গুয়াখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে ২৭ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশু বরণ ২০২৪ এর সফল সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়।

প্রধান অতিথি নড়াইল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জনাব জাহাঙ্গীর আলম বলেন, শিশু বরণ অনুষ্ঠান আয়োজনের ফলে শিশুদের বিদ্যালয় ভীতি কমে, শিশুরা বিদ্যালয় যেতে আগ্রহী হয়, শিক্ষককে বন্ধু ভাবতে শেখে, আনন্দ পায়,সহপাঠীর সাথে মিশতে শেখে ,শিশুর জড়তা কাটে তথা শিশুর সার্বিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে ।  তিনি  ক্লাস্টারে এ রকম সুন্দর আয়োজনের জন্য সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারসহ সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads